হিজরী ১ম শতকেই আরব বণিকদের মাধ্যমে এদেশে সর্বপ্রথম ইসলামের আগমন ঘটে। বাণিজ্যের পাশাপাশি সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার বিস্তীর্ণ উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে তারা ইসলাম প্রচার করেছিলেন। যার মধ্যে আছে বাংলাদেশও, চীন যাবার পথে আরব বণিকদের বাংলাদেশের বন্দরগুলোতেও নোঙ্গর করতে হয়েছে। আর তাদের পবিত্র সাহচর্যে এসে এদেশের কিছু মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। সম্প্রতি লালমনিরহাটের সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের মজদের আড়া গ্রামে ৬৯ হিজরীতে বা ৬৪৮ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত একটি প্রাচীন মসজিদের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। এর মধ্যে স্পষ্টাক্ষরে আরবীতে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ হিজরী ৬৯ লেখা ছিল। ৬৯ হিজরী ছিল বনু উমাইয়ার যুগ,
রাসূল সা এর যুগের সাথে এর ব্যবধান মাত্র ৫০ বছরের।
এরপর থেকেই এ অঞ্চলে বিখ্যাত ওলী শাহজালাল ইয়ামানী রহ., হযরত খানজাহান আলী রহ. সহ হাজার হাজার অলি আউলিয়ার আগমন ঘটতে থাকে ইসলাম প্রচার ও প্রসারের জন্য,
অবশ্য বাঙালি জনগণের রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা অর্জনের পূর্ব পর্যন্ত বাংলাভাষা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়নি বলে বাংলায় ইসলাম প্রচারে তখন সরকারি সহযোগিতা তেমন উল্লেখযোগ্য ছিল না। ১৯৫২- এর ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্ররূপে প্রতিষ্ঠা লাভের পর বাংলাভাষা রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদা অর্জন করে এবং বাংলা ভাষায় ইসলাম প্রচার সরকারি আনুকূল্য পায়।
এরই ধারাবাহিকতায় সরকারের জন্য অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন, তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ
- মক্কা মদিনায় আক্রমন হলে বাংলাদেশ থেকে সেনাবাহিনী পাঠানোর প্রতিশ্রুতি
· সারা দেশে ৫৬০ মডেল মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা, কওমি সনদের স্বীকৃতি
· ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের জন্য জাতীয় স্কেলে বেতন প্রদানের পরিকল্পনা,
· জেদ্দা হজ্জ টার্মিনালে ‘বাংলাদেশ প্লাজা’ স্থাপন; আশকোণা হজ্জক্যাম্পের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি।
· আল-কুরআনের ডিজিটালাইজেশন
· ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ;
· দেশের ৩১টি কামিল মাদ্রাসায় অনার্স কোর্স চালুকরণ
· জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অনুমোদিত প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন মডেলে ইসলামী মূল্যবোধের প্রতিফলন;
· ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম উপজেলা পর্যায়ে সম্প্রসারণের ঘোষণা ও বাস্তবায়ন
· বিশ্ব ইজতেমার জন্য টঙ্গিতে সরকারী জায়গা বরাদ্দ
· মসজিদ পাঠাগার স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন সহ ইসলামের উন্নয়নের জন্য অসংখ্য প্রকল্প
ময়মনসিংহে নির্মিত হচ্ছে বৈদ্যুতিক গম্বুজের মসজিদ এবং সবচেয়ে বড় চমক টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় নির্মিত হচ্ছে বিশ্বের সবচাইতে বেশি গম্বুজের ২০১ গম্বুজ মসজিদ ।
২০১ গম্বুজ মসজিদ নির্মিত হচ্ছে বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাষ্টের উদ্যগে, কিন্তু এই মসজিদ নির্মাণের উপকরণ মার্বেল পাথর, টাইলস ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর আমদানির জন্য যখন যখন কোটি কোটি শুল্কের জন্য নির্মাণ কাজ ব্যহত হতে চলেছিলো, ঠিক তখনি সরকার ২০১ গম্বুজ মসজিদ নির্মাণের উপকরণ মার্বেল পাথর, টাইলস ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর আমদানির জন্য সকল আমদানি শুল্ক মউকুফ করে দিয়েছেন,
বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাষ্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বলেনঃ বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ! সরকার যদি আমদানি শুল্ক মউকুফ না করতেন তবে কোনভাবেই এই মসজিদ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হতো না। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘায়ু কামনা করে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ।